খুব সহজেই মানুষ ভালো একটা পরিমানের অর্থ অনলাইন থেকে উপার্জন করছে। দেশের লাখ
লাখ মানুষ এখন এই অনলাইন ইনকাম এর উপরে নির্ভরশীল।চাইলেই খুব সহজেই ইন্টারনেটের
মাধ্যমে বিভিন্ন পদ্ধতিতে আপনিও ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কি সেটি চান? যদি আপনার
উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।
এই অনুচ্ছেদটিতে আমরা, "কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায়" এই বিষয় নিয়ে আলোচনা
করবো এবং সাথে সাথে অনলাইনে আয়ের সেরা কিছু উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। আপনি
যদি এই সেক্টরে নতুন হন, এই আনুচ্ছেদটি আপনাকে অনেক সহায়তা করবে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার বিষয়টি আজ থেকে ১০ বছর আগে যতোটা কঠিন ছিল, এখন কিন্তু
তার থেকে অনেক সহজ। হাটি হাটি পা পা করে ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাওয়া
আমাদের এই প্রাণের প্রিয় বাংলাদেশে বিভিন্ন সমস্যার কারনে আজ থেকে ১০ বছর আগেও
অনলাইনে ফ্রি টাকা ইনকাম করার বিষয়টি কেউ ভাবতেও পারতো না। কিন্তু সেই স্বপ্ন
আজকে সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে।
অনলাইন থেকে বর্তমানে মানুষ শুধু অনলাইন এ ইনকাম নয়, শুধুমাত্র এই ইনকাম দিয়েই
স্বচ্ছলতা আসছে অনেক পরিবারে। আধুনিক এই বিশ্বে এখন অফিস আদালত, শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রায় সকল ক্ষেত্রেই অধিকাংশ কাজ অনলাইনে হচ্ছে। আগে
আপনি যদি কোনো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে চেতেন, সেটি আপনাকে
নিজে এসে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফর্ম নিতে হতো।
কিন্তু এখন আপনি দেশের যে কোনো প্রান্তে থেকেই অনলাইনে ভর্তি ফর্ম পূরণ করতে
পারবেন। চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রেই এই বিষয় এখন। এসব বিভিন্ন জায়াগায় বিভিন্ন কাজ
অনলাইনে সম্পাদনের জন্য অনলাইনে বিভিন্ন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই কাজ করার
জন্য শুধু আপানার প্রয়োজন একটি ডিজিটাল ডিভাইস।
এখানে এটা গ্যারান্টি দিতে পারবো না যে আপনি শুরুতেই লাখ লাখ টাকা অনলাইন থেকে
ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনার যদি ধৈর্য থাকে, এবং আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট
কাজে পারদর্শী হয়ে উঠতে পারেন, সেক্ষেত্রে অনলাইন থেকে অনেক বড় পরিমানের অর্থ
প্রতিমাসে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
হ্যাঁ! তবে কিছু কথা থেকে যায়। এই প্রশ্নটির উত্তর অনেকের কাছে অনেক কঠিন
মনে হলেও আমার কাছে কিন্তু খুবই সহজ মনে হয়। যে কেউ এসে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবে
না, এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি।
কেননা অনলাইনে আয় করতে চাইলে প্রচুর পরিশ্রম করার মন মানসিকতা থাকতে হবে।
আর যেহেতু অনলাইনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নগদ অর্থ পাওয়া যায় না, সেজন্য অনেকেই
খুব দ্রুত হাল ছেড়ে দেয়, যা একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায় অনলাইনে সফলতা না পাওয়ার।
কেননা এইখানে প্রচুর পরিমাণে ইচ্ছা শক্তিরও প্রয়োজন পড়ে।
সোজাসুজি বলতে গেলে অনলাইনে সফলতা পাওয়ার জন্য শুরুতে বিনা পরিশ্রমে খাটতে হয়
এবং নিজের স্কিল ডেভেলপ করতে হয়। কেউ যদি একবার নিজের স্কিল ডেভেলপ করে অনলাইন
থেকে ইনকাম করা শুরু করে। তাহলে আমার মতে মনে হয় যে, তার আর পেছনে ফিরে তাকাতে
হবে না।
অনেকে ভাবে, ফ্রি টাকা ইনকাম মানেই যেন হাওয়া থেকে টাকা আসবে! আসলে বিষয়টা তেমন
নয়। ফ্রি ইনকাম মানে হলো- কোন প্রাথমিক পুঁজি ছাড়াই, নিজের সময় ও দক্ষতা
ব্যবহার করে অনলাইনে উপার্জন করা। অর্থাৎ এখানে টাকা দিতে হয় না, কিন্তু সময় ও
পরিশ্রম দিতে হয়।
এই ধরনের কাজের মাধ্যমে ফ্রিতে ইনকাম করা সম্ভব। এতে করে আপনাকে অনেক পরিশ্রমী
হতে হবে। কখনো কোন কাজে ফাঁকি দেওয়া যাবে না। তাহলে আপনি এগুলো ব্যবহার করে
অবশ্যই ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ইন্টারনেট এখন শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং আয়ের একটি শক্তিশালী উৎসে পরিণত
হয়েছে। কেউ মোবাইল দিয়ে, কেউ কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে প্রতিদিন ঘরে
বসে টাকা উপার্জন করছেন।কিন্তু সমস্যা হলো, ইন্টারনেটে অনেক ভুল তথ্য ও স্ক্যাম
সাইট আছে। কিভাবে কি করবেন তার বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলোঃ
ব্লগিং অনলাইন আয়ের বেশ পুরাতন কিন্তু অনেক কার্যকরী একটা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে
বেশ ভালো অঙ্কের একটা টাকা প্রতি মাসেই ইনকাম করা সম্ভব।এটি মূলত একটি ডিজিটাল
নিউজ পেপার এর মতো। আপনি আপনার মন মতো কোনো একটি বিষয় নিয়ে লিখবেন। যার ওই
বিষয়টি জানার দরকার সে এসে পড়ে যাবে।
আপনি এখন যে লেখাটি পড়ছেন এটিও একটি ব্লগ। অতএব বুঝতেই পারছেন বিষয়টা। লেখালেখি
যদি আপনার আগ্রহ থাকে, তাহলে আপনি খুব সহজেই এখান থেকে ইনকাম করতে পারেন। আপনার
যে বিষয়ে আগ্রহ, জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা বেশি সে বিষয়ে ব্লগিং করলে তা সবথেকে বেশি
কাজে দেয়।
তাই আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সেই নিশেই কাজ করতে পারেন। নিশ বলতে মূলত নির্দিষ্ট
কিছু বিভাগ বোঝায় যেমন, খেলাধুলা, টেকনোলজি, আইন, রান্না, জীবনী, ভ্রমন,
ইত্যাদি। উদাহরণ স্বরূপঃ ভ্রমনের ক্ষেত্রে আপনি কোনো এক জায়গায় ভ্রমনে গিয়ে কি
কি অভিজ্ঞতা হয়েছিলো, সেটি নিয়ে একটি বিস্তারিত ব্লগ লিখে ফেলতে পারেন।
এখন মূল বিষয় হলো আপনি কোথায় লেখালেখি করবেন। এক্ষেত্রে সব থেকে ভালো হয় আপনি
যদি একটি ব্লগ সাইট নিজে বানিয়ে নিতে পারেন। এখন অনেক সহজে কোনো খরচ ছাড়াই ব্লগ
সাইট বানানো যায়। তবে ফ্রি সাইটগুলো কে মানুষ একটি কম বিশ্বাস করে।
তাই আমাদের পরামর্শ থাকবে প্রথমে কিছু টাকা খরচ করে ডোমেন কিনে, হোস্টিং ঠিক
করে, আকর্ষণীয় একটি সাইট তৈরি করুন। এরপর ওখানে লেখা লেখি শুরু করুন। দেখবেন
বেশ ভালো ফল পাচ্ছেন। একটি ডট কম ডোমেন কিনবেন, সাথে এক জিবি হোস্টিং এবং একটি
ফ্রি থিম। এই তিনটা জিনিসই আপনার ব্লগিং শুরু করার জন্য যথেষ্ট। এক্ষেত্রে
আপনার তিন হাজার টাকা মতো খরচ হতে পারে।
এইভাবে খরচ করে ব্লগিং করলে আপনার ব্র্যান্ডিং টা ভালো হবে এবং ইনকাম এর
পরিমানও অনেক বেশি হবে ফ্রি সাইটের তুলনায়। আর ভবিষ্যতে আপনার সাইট এর দামও
অনেক হবে। ক্ষেত্র বিশেষে একটি ভালো সাইটের মূল্য কয়েক লক্ষ্য পর্যন্ত হয়ে যায়।
আর ফ্রি সাইট গুলোর ক্ষেত্রে আপনাকে পুরো ডোমেইন দিবে না গুগোল।
আপনি সেক্ষেত্রে পাবেন সাব ডোমেইন। এভাবে ব্লগ সাইট খোলার ক্ষেত্রে আপনি খুব
সহজেই ব্লগস্পট দিয়ে ১০ মিনিটেই একটি ব্লগসাইট খুলতে পারেন। আর এক্ষেত্রে আপনি
মোবাইল এবং কম্পিউটার উভয় মাধ্যমেই কাজ করতে পারেন। তাই যারা মোবাইলে অনলাইন
ইনকামের কথা ভাবছেন, তাদের জন্যও এটি একটি সেরা সুযোগ হতে পারে।
তবে এতো কিছুর পাশাপাশি আপনার যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর কিছুটা ধারনা থাকে
তাহলে কিন্তু আপনি খুব সহজেই আপনার সেই ব্লগে প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক বা ভিজিটর
আনতে পারবেন। যার মাধ্যমে আপনি কিন্তু আপনার ইনকামের পরিমাণ বহুগুণে বাড়িয়ে
ফেলতে পারবেন খুব সহজেই।
ফ্রিলান্সিং করে ইনকাম করুনঃ
অনলাইনে যে পদ্ধতিতে সবথেকে বেশি মানুষ রোজগার করে সেটি হলো ফ্রিলান্সিং।
বাংলদেশের বেকারত্ব কমাতে এই খাতটি অনেক বড় ভুমিকা পালন করছে। এবং সাথে সাথে
অনেক দক্ষ মানুষ এই খাতে কাজ করে আমাদের দেশকে রিপ্রেসেন্ট করছে । পৃথিবীর কাছে
বাংলাদেশকে তুলে ধরছে।
আসলে বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশের মানুষের জানতোই না যে পৃথিবীর মানচিত্রে
বাংলাদেশ বলে একটা দেশ আছে। সেসব মানুষের কাছে বাংলাদেশকে পরিচিত করছে আমাদের
দেশের ফ্রিল্যান্সারগণ। সাথে সাথে প্রতি মাসে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স
তারা এনে দিচ্ছে বাংলাদেশে। তাই এই ফ্রিলান্সিং এ যোগদান করে আপনি টাকা আয় করার
পাশাপাশি এই গৌরবেরও অংশীদার হতে পারবেন।
এখন আসি কিভাবে শুরু করবেন এই কাজ। ফ্রিলান্সিং বলতে মুলত বিভিন্ন ধরনের কাজ যে
কাজে আপনি দক্ষ সে কাজটি একটি নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক এর বিনিময়ে করে দেয়া। এখানে
আপনার কাজ করার এবং আপনার যে ইমপ্লয়ার তার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নাই।
আপনি ঘরে বসেই আপনার কাজ সম্পাদন করতে পারবেন এবং আপনার ক্লায়েন্ট হবে বিভিন্ন
দেশের। সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে থাকবে। যাহোক, সবার প্রথমে এখানে আপনার
দরকার একটি নির্দিষ্ট বিষয় দক্ষতা। এটা হতে পারে গ্রাফিক্স ডিজাইন, হতে পারে
ফটো এডিটিং, হতে পারে ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব সাইট মেকিং, কপি রাইটিং, কন্টেন্ট
রাইটিং, লোগো ডিজাইন ইত্যাদি।
এসবের যেকোনো একটি কাজে আপনি দক্ষতা অর্জন করতে পারলেই আপনি ফ্রিলান্সিং
করতে পারবেন। আপনি যদি একাধিক কাজ পারেন, সেক্ষেত্রে আপনার টাকা ইনকামের সুযোগ
বেশি হয়ে যায়। কাজ শেখার পর আপনাকে বিভিন্ন ফ্রিলান্সিং সাইটে (যেমন-
Freelancer, Upwork, Fiver, ইত্যাদি) আপনার তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে
হবে। এর পরে আপনি কোন কোন কাজে পারদর্শী সেগুলো ওই সাইটে মেনশন করে দিতে হবে।
তবে একটা বিষয় আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে। বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকাম সাইট
অনেক আছে। কিন্তু সঠিক ও ভালো মানের সাইট খুব একটা নেই। তাই যেকোনো ওয়েবসাইটে
কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই ভালো ভাবে সাইটটি দেখে নিবেন। যদি সব কিছু দেখে আপনার
কাছে ভালো বলে মনে হয় কেবল তাহলেই আপনি সেই সাইটে কাজ করা শুরু করবেন।
তারপর, আপনি যে কাজ পারেন তার প্রমানের জন্য আপনার পূর্বেই সম্পাদিত কোনো কাজ
থাকলে সেটা পোর্টফোলিও আকারে ওই ওয়েবসাইটে সাজিয়ে রাখতে হবে। এতে করে আপনার
ক্লায়েন্ট এসে আপনার পোর্টফলিও দেখে পছন্দ করলে আপনাকে কাজে নিয়োজিত করবে।
এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ থাকবে অবশ্যই ভালো একটা পোর্টফলিও তৈরি করার জন্য।
কারন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নতুন হিসাবে ওই পোর্টফোলিও গুলোই আপনাকে কাজ পেতে
সহায়তা করবে। প্রথম প্রথম আপনাকে কাজ পেতে একটি অসুবিধা হতে পারে। সেক্ষেত্রে
আপনার পরিচিত কেও যদি ফ্রিলান্সার থাকে তার রেফারেন্স নিতে পারেন।
এই রেফারেন্স এর মাধ্যমে কাজ পেয়ে আপনার প্রথম ক্লায়েন্ট যখন আপনাকে ভালো একটা
রিভিউ দিবে, তখন দেখবেন কাজ আসতেই থাকবে। এছাড়াও প্রথমে গিয়ে বিভিন্ন কন্টেস্টে
অংশগ্রহন করতে পারেন। ওখান থেকেও ক্লায়েন্ট পেতে পারেন। আমাদের মতে ফ্রিলান্সিং
এর ক্ষেত্রে প্রথম কাজটা পাওয়াই একটু কঠিন।
ইউটিউবিং করে আয়ঃ
বাংলাদেশের অনেক বড় বড় ইউটিউবার আছে। এদের কারো কারো মাসের ইনকাম ৪০ থেকে ৫০
লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আপনিও কিন্তু চাইলেই ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা শুরু
করতে পারেন। এই ভিডিও বানাতে আপনার ক্যামেরা না থাকলেও চলবে।
প্রথমে অনেক বড় বড় ইউটিউবার-ই মোবাইল দিয়ে ভিডিও করে শুরু করে তাদের ইউটিউব
যাত্রা। তারপরে সফল হওয়ার পরে এখন তারা দামি দামি গেজেট ব্যবহার করে। আপনার
কন্টেন্ট যদি ভালো থাকে, প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে যদি আপনি ভিডিও বানাতে পারেন,
তাহলে খুব তাড়াতাড়িই আপনি ভিউয়ার পেয়ে যাবেন।
তবে এক্ষেত্রে একটি ছোট্ট বিষয় টিপস দিয়ে রাখি আপনাদের। আপনারা যদি সত্যিই
প্রফেশনালভাবে ইউটিউবে কাজ করতে করতে চান, তাহলে ভিডিও, অডিও ও ভিডিও এডিটিং
খুবই ভালো ভাবে করতে হবে। তারপরে সর্বনিম্ন এক হাজার সাবস্ক্রাইবার হয়ে গেলে
এবং ন্যূনতম ভিউ টাইম হয়ে গেলে আপনি মানিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে
পারবেন।
এর পরে প্রতিটা ভিডিওতে মানিটাইজেশন একটিভেট করে নিলেই আপনার ইনকাম শুরু হয়ে
যাবে। এছাড়াও বর্তমানে ইউটিউব কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছাড়াও আপনি বিভিন্ন জায়গা
থেকে স্পন্সারের মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারেন।
দেখা গেলো কোনো একটা কোম্পানি কোনো একটা পন্যের মার্কেটিং এর জন্য আপনার ভিডিও
তে তার ওই পন্য বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য বললো। আপনি এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দিতে সম্মতি
প্রকাশ করলে আপনাকে আপনার চাহিদা অনুযায়ী সে পেমেন্ট করবে।
ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকামঃ
ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম করার বিষয়টি হয়ত অনেকেই জানেন না। সত্যি কথা বলতে
অনলাইন থেকে ভিডিও দেখে ইনকাম করার বিষয়টি অনেকের কাছে অবাক লাগলেও ঘটনাটি
কিন্তু সত্যি। বর্তমানে এমন কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনাকে প্রতিদিন ভিডিও
দেখার জন্য পেমেন্ট করা হবে।
তবে মনে রাখবেন, অনলাইনে ভিডিও দেখে ইনকাম করার মতো স্ক্যাম বা ভূয়া সাইট
রয়েছে। যারা আপনাকে দিয়ে ভিডিও দেখিয়ে পরবর্তীতে কোনো পেমেন্ট করবে না। এ ধরনের
প্রতারণার হাত থেকে বাচঁতে অবশ্যই আপনাকে অনলাইন জগতে সব সময় সর্তক থাকতে
হবে।
সাধারনত এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলো বিভিন্ন ধরনের চটকদারী বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের
মাধ্যমে আপনাকে চেষ্টা করবে তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাকে ভিডিও দেখিয়ে আয়
করার ফাঁদে ফেলার। একটা বিষয় সব সময়ই মনে রাখবেন। অনলাইনে কখনই কোনো ওয়েবসাইট
আপনাকে ভিডিও দেখে খুব বেশি পেমেন্ট করবে না।
যখনই দেখবেন কোনো ওয়েবসাইট মাত্রাতিরিক্ত পেমেন্ট করার কথা বলছে কিংবা কোনো
চটকদারী বিজ্ঞাপনের কথা বলে আপনাকে তাদের ওয়েবসাইটে আয়ের কথা বলছে, তখনই
ওয়েবসাইটটিকে খুব ভালো ভাবে দেখে শুনে যদি সত্যিকার অর্থেই আসল বলে মনে হয়, তখন
কাজ করা শুরু করবেন, অন্যথায় নয়।
ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকামঃ
আপনি হয়তো জেনে থাকবেন, একটি ভালো ওয়েবসাইটের দাম লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। আপনিও
চাইলে এরকম ওয়েবসাইট বানাতে পারেন এবং সেটি সচল করে অনেক বেশি দামে বিক্রি করে
দিতে পারেন। ওয়েবসাইট বানানো বর্তমানে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার মতোই সহজ। যে
কেউ চাইলেই করতে পারেন।
কিন্তু যে সাইট গুলো খুব সহজে বানানো যায়, সেগুলোর তেমন কোনো চাহিদা থাকে না।
তবে আপনার সাইটে যদি পরিমিত পরিমান ট্রাফিক থাকে, সেক্ষেত্রে দাম পেতে পারেন
ভালো। যে সাইট গুলো বেশি দামে বিক্রি হয়, সেগুলো দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার
দ্বারা তৈরি করা হয়।
তাই আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন, অথবা ওয়েব ডিজাইনিং শিখতে পারেন।
সেক্ষেত্রে আপনি নিজে নিজে ভালো ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে পর্যাপ্ত কন্টেন্ট
আপলোড করে, সেই সাইটটি সচল করে সেটিকে ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন।
আবার অনেক ক্ষেত্রে নতুন সাইটও বিক্রি করতে পারেন, যদি আপনার হাতে ক্লায়েন্ট
থাকে। আর এই কাজের একটি ভালো দিক হলো আপনি যদি এই কাজে একবার দক্ষ হয়ে উঠতে
পারেন, তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে কাজের সুযোগ আসবে। আবার চাকরি জীবনেও এই
অভিজ্ঞতা অনেক কাজে আসবে আপনার।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়ঃ
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমানে সারা বিশ্বেই অনেক জনপ্রিয় একটি অর্থ উপার্জনের
মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশেও আস্তে আস্তে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার এর সংখ্যা
বাড়ছে। এটি অনেক সহজ একটি মাধ্যম। কিন্তু সাধারন মানুষের অনেকেরই এ বিষয়ে
স্পষ্ট ধারনা না থাকার কারনে এই কাজে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করছেনা। আসুন বিষয়টা
খুব সহজে বুঝে নেই।
বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার ই-কমার্স সাইট রয়েছে। এদের ভেতরে অনেকগুলো আবার সারা
বিশ্বেই পন্য ডেলিভারি দিয়ে থাকে। এইসব ই-কমার্স সাইটে প্রত্যেকটাতে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নামে একটি সেকশন রয়েছে।
আপনি সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে খুব সহজেই তাদের মেম্বার হয়ে যেতে পারেন। তারপর
আপনার একটা গ্রুপ তৈরি করতে হবে বন্ধু এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে। এরকম গ্রুপ
আমাদের প্রতিটি মানুষেরই আছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে। এখন ওই নির্দিষ্ট
ই-কমার্স সাইট থেকে আপনি বিভিন্ন পন্যের বিবরন সহ ওই লিঙ্ক কপি করে বিভিন্ন
গ্রুপে পাঠাতে হবে।
এবার ওখানে থেকে ওই লিঙ্কে ক্লিক করে যদি কেও পন্যটি কিনে, তাহলে আপনি সেটার
থেকে নির্দিষ্ট পরিমানের একটি কমিশন পাবেন। এক্ষেত্রে আপনার কমিশনের জন্য
কিন্তু পন্যটির দাম বাড়বে না। পন্যটির আসল যে দাম সেটি দিয়ে মানুষ কিনতে
পারবে আপনার পাঠানো লিঙ্ক থেকে।
তবে এ ধরনের কাজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর
পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং সর্ম্পকেও পরিষ্কার ও সুস্পষ্ট ধারনা থাকা চাই।
এভাবে অনেক টাকায় ইনকাম করা সম্ভব হয়, যদি আপনি ভালো একটি কমিউনিটি তৈরি করে
ফেলতে পারেন। তাছাড়া আপনি চাইলে এখান থেকে ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমেও ইনকাম
করতে পারেন।
এর জন্য আপনার দরকার অনেক গুলো একটিভ ইমেইল। আপনি যদি হাজার খানের একটিভ ইমেইল
ম্যানেজ করে ফেলতে পারেন, তাহলেই খুব সহজে এখানে থেকে ভালো অঙ্কের একটি
টাকা ইনকাম করে ফেলতে পারেন। বর্তমানে অ্যামাজন এফিলিয়েশন প্রোগ্রাম বেশ
জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
অনলাইনে পড়িয়ে বা টিউশনি করে ইনকামঃ
আমাদের আসে পাশে অনেক মানুষই দেখতে পাবেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে অথবা কোনো কোচিং
সেন্টার খুলে সেখানে পড়াচ্ছেন। এভাবে পড়িয়ে মাসে অনেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা
পর্যন্ত আয় করে থাকেন। কিন্তু এভাবে বাসায় গিয়ে গিয়ে পড়ানোর ক্ষেত্রে অনেক সময়
এবং অর্থ যাতায়াতেই চলে যায়।
অন্যদিকে কোচিং সেন্টারের জায়গা জোগাড় করাও একটি কষ্টসাধ্য বিষয়। এক্ষেত্রে
বর্তমানে বাংলাদেশে যে বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সেটি হলো অনলাইন টিচার কনসেপ্ট।
আপনি চাইলেই ঘরে বসেই অনলাইনে ছাত্রদের পড়িয়ে অনেক বেশি অর্থ উপার্জন করে নিতে
পারেন। আপনি জেনে অবাক হতে পারেন যে, বর্তমান বিশ্বে ৫০ শতাংশ শিক্ষক অনলাইনে
শিক্ষা দিচ্ছেন।
বর্তমানে আমাদের দেশেও এরকম বেশ কয়েকটি প্লাটফর্ম রয়েছে যেখানে অনলাইনে পড়ানো
হয়। এর মধ্যে টেন মিনিট স্কুল অন্যতম। আপনি তাদের থেকেও অনেক ধারনা নিতে পারেন।
প্রথমে হয়তো বিভিন্ন বাধা বিপত্তি আসবে, ছাত্র খুজতে বেগ পেতে হবে, কিন্তু
পরবর্তীতে অনেক সুবিধা পেতে পারেন এখানে থেকে।
ছবি বিক্রি করে ইনকামঃ
আমাদের বর্তমান জেনারেশনে স্মার্টফোন নেই, এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গণা। অনেকের
কাছে আবার বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরাও বিদ্যমান। আপনি চাইলে আপনার এই মোবাইলের
মাধ্যমে খুব সহজেই অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে শুধু
বিভিন্ন আকর্ষণীয় জিনিসের ছবি তুলতে হবে।
সেটা আপনি আপনা মোবাইল ফোন দিয়েও তুলতে পারেন আবার ক্যামেরা দিয়েও তুলতে পারেন।
তারপর চাইলে একটু এডিট করে অথবা "র" ফাইলই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপলোড করে সেখান
থেকে এক একটি ছবির জন্য ৫০ ডলার থেকে শুরু করে ৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
আপনি যদি অল্প সল্প ফটো এডিটিং জানেন, তাহলে এক্ষেত্রে অনেক সুবিধা লাভ করতে
পারবেন। Photoshop, Illustrator ইত্যাদির মাধ্যমে ছবির আকর্ষণীয়তা অনেক
ক্ষেত্রেই জানা বাড়ানো যায়।অনলাইনে ছবি বিক্রির জন্য অনেক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন
আপনি। তার মধ্যে Shutterstock, 500px, Envato ইত্যাদি খুবই জনপ্রিয় এবং সব থেকে
বেশি পে করে থাকে ফটোগ্রাফারদেরকে।
ইন্ডিয়ার সন্দিপ মহেশ্বরীর কথা অনেকেই শুনে থাকবেন। এখন প্রত্যেকটা টেকনোলজি
বিষয়ক সেমিনার বা স্টেজ সো-তে তিনিই প্রধান অতিথি থাকেন। তিনিই অন্যতম উদাহরন
যে ফটোগ্রাফিকে নিজের পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন ।
এই সেক্টরে তিনি ভীষণই সফল একজন মানুষ। তার নিজেরও ছবি বিক্রির একটি ওয়েবসাইট
রয়েছে যেখানে দেশ বিদেশের ১০০০ এরও বেশি ফটোগ্রাফার কাজ করে থাকেন। আপনি এইসব
ওয়েবসাইট গুলো তে যে ছবি গুলো বিক্রি করবেন সেগুলো আবার ওই ওয়েবসাইট থেকেই
বিভিন্ন মানুষ ক্রয় করে নিবে।
এইসব ছবি গ্রাফিক ডিজাইনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। বিভিন্ন বইয়ের
কাভারে, ব্যানারে, এইসব ছবি বিক্রি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
অনলাইন সার্ভে করে আয়ঃ
অনেক কোম্পানি আছে যারা, গ্রাহকের কাছ থেকে ফিডব্যাক পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের
সার্ভে করে থাকে। অনেক দেশে তো সরকারীভাবেই বিভিন্ন সার্ভে হয়ে থাকে। দেশের
সার্বিক অবস্থায় দেশের জনগন কতটা সন্তুষ্ট, এটা জানার জন্য সরকার এই সার্ভে
গুলো করে থাকে। তবে বড় বড় কোম্পানিগুলোই বেশির ভাগ অনলাইন সার্ভের ব্যবস্থা করে
থাকে।
এইসব সার্ভে সাধারনত পেইড হয়ে থাকে। আপনি চাইলেই এসব সার্ভে করে প্রতি মাসে
ভালো অঙ্কের একটি ইনকাম করে ফেলতে পারেন। বড় বড় কোম্পানিগুলো তো একটি
সার্ভের জন্য ১০০ ডলার পর্যন্ত খরচ করে থাকে। এইসব সার্ভে গুলো নির্দিষ্ট একটি
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে।
এর জন্য আপনাকে প্রথমে ওই নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলতে হবে। তারপর আপনার
সব ইনফর্মেশন দিয়ে অ্যাকাউন্ট আপডেট করে নিলেই আপনি কাজ শুরু করার জন্য
প্রস্তুত। তবে প্রতিটি সার্ভেতেই আপনি কুয়ালিফাই হতে পারবেন না। শুধু মাত্র যে
সার্ভে গুলো আপনার অ্যাকাউন্ট-এ দেওয়া তথ্যের সাথে মিলবে সেগুলোই আপনি করতে
পারবেন।
অনলাইনে ফ্রি টাকা ইনকাম ও বিকাশে পেমেন্টঃ
একটা বিষয় সর্ম্পকে আপনাদের পরিষ্কার ধারনা থাকা উচিত। অনলাইন ইনকাম করে বিকাশে
টাকা আনার ব্যাপারে আপনাদের অনেকেরই মনে একটি প্রশ্ন আসে, যে অনলাইনে আয়কৃত
টাকা কি সরাসরি বিকাশে আনার কোনো উপায় আছে? একদম সহজ করে যদি এক কথায় এটির
উত্তর দিতে চাই তাহলে এটির উত্তর হবে "না"।
আপনি অনলাইনে আয় করা টাকা সরাসরি আপনাকে বিকাশে আনতে পারবেন না। তবে এখানে কিছু
বিষয় রয়েছে। আপনি কোন সাইট থেকে আয় করছেন, সাইটটি কি বাংলাদেশী কোনো এডমিন
দ্বারা পরিচালিত কি না কিংবা তারা বিকাশ পেমেন্ট সার্পোট করে কি না ইত্যাদি
বিষয়গুলোও এখানে খুব মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
এমন অনেক অনলাইন ইনকাম সাইট রয়েছে, যেখানে তারা সরাসরি বিকাশে ক্যাশ উইথড্র
করার সুযোগ দিয়ে থাকে। সে ধরনের কোনো ওয়েবসাইটে যদি আপনি কাজ করে থাকেন এবং
সাইটটি যদি রিয়েল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি বিকাশে পেমেন্ট নিতে
পারবেন।
এছাড়াও আপনি যদি কোনো বাহিরের দেশের কোনো ওয়েবসাইটে কাজ করে থাকেন যারা মূলত
বিকাশে পেমেন্ট করে না বরং অন্য কোনো পেমেন্ট গেটওয়েতে পেমেন্ট করে থাকে,
সেক্ষেত্রে আপনি কোনো থার্ড পার্টি ব্যবহার করে পেমেন্টটি রিসিভ করতে
পারেন।
তবে এক্ষেত্রে যার মাধ্যমে আপনি পেমেন্টটি আনতে চাচ্ছেন, তার বিশ্বস্ততা ও
স্বচ্ছতার বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখা দরকার।
অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়েঃ
বিকাশের মতো অনেকেরই মনে একটি প্রশ্ন থাকে যে, মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করা
যায় কি না। সত্যি কথা বলতে বিকাশের মতোই একদম সহজ করে এক কথায় যদি উত্তর দিতে
হয় তাহলে বলবো "না"। আপনি মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন না।
উপরে অনলাইন থেকে আয়ের যে বিষয়গুলো সর্ম্পকে আমরা আলোচনা করেছি সেই কাজগুলি
করতে গেলে কিন্তু একটি মোবাইলের থেকে একটি কম্পিউটার হলেই আপনার জন্য বেশি ভালো
হবে।
আমি বলছি না যে মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে একদমই আয় করা যাবে না। অনেক বড় বড়
ইউটিউবার রয়েছেন যারা শুধুমাত্র মোবাইল দিয়ে ভিডিও করেই আজকে অনেক লাখ লাখ
সাবস্ক্রাইবার ও ভিউস পেয়েছেন। এমনও অনেকে রয়েছেন যারা শুধুমাত্র একটি মোবাইল
দিয়েই ফেসবুক একটি পেজ পরিচালনার মাধ্যমে তাদের অনলাইন ব্যবসা দিনকে দিন বড়
করেই তুলছেন।
কিন্তু সত্যি কথা বলতে আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই অনলাইন থেকে ভালো আয় করতে চান
তাহলে কিন্তু আপনার অবশ্যই একটি ভালো মানের কম্পিউটারের প্রয়োজন পড়বে। নতুবা
আপনার পক্ষে প্রফেশনালভাবে অনলাইনে কাজ করাটা অনেকটাই কষ্টকর হয়ে যাবে।
আশা করি, এই আর্টিকেলটিতে আলোচিত সকল বিষয়ই আপনারা সম্পূর্ণভাবে বুঝেছেন। তারপরও
যদি কোনো বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে সেটি কমেন্ট বাক্সে জানাতে ভুলবেন না আর এই
আর্টিকেলটি যদি আপনার একটুও উপকার হয়ে থাকে তাহলে প্রিয়জনদের কাছে শেয়ার
করতে ভুলবেন না। শুভ হোক আপনার অনলাইন যাত্রা। ধন্যবাদ।
নিউ সেবা বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url