কন্টেন্ট রাইটিং আমরা কিভাবে শিখতে পারি - আকর্ষণীয় টিপস
আপনি কি কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি ঠিক জায়গাই এসেছেন। আজকাল অনলাইন মার্কেটিং এ কন্টেন্ট রাইটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। সুন্দর কন্টেন্ট রাইটিং করতে হলে এর কিছু গুণ রয়েছে। আজকে এ আর্টিকেলে কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে জানবো।
কিভাবে একটি সুন্দর কন্টেন্ট তৈরি করা যায়, কি কি বিষয়ের ওপর বেশি বেশি ফোকাস দিতে হবে, কন্টেন্ট এর মধ্যে ব্যবহৃত ভাষা, শব্দ কেমন হওয়া উচিত, এইসব টিপস নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে।
সূচিপত্রঃ কন্টেন্ট রাইটিং আমরা কিভাবে শিখতে পারি - আকর্ষণীয় টিপস
কন্টেন্ট রাইটিং বলতে আসলে কি বোঝানো হয়?
কন্টেন্ট রাইটিং কেন এত গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য?
ডিজিটাল কন্টেন্ট রাইটিং এর কিছু প্রকারভেদ:
আকর্ষণীয় কন্টেন্ট রাইটিং এর কিছু সিক্রেট টিপস:
কন্টেন্ট এর উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য ঠিক করুন:
কন্টেন্টের আপডেটেড তথ্য সংগ্রহ করুন:
সহজ ভাষায় কন্টেন্ট লিখুন বুঝার মত করে:
কন্টেন্ট কি?
কন্টেন্ট হচ্ছে- একটি বিষয়কে সহজ ও মার্জিত ভাষায় উপস্থাপন করা। যা পড়ার সাথে সাথে মানুষ সেই বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে পারে। কন্টেন্টটি যেকোনো বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। এটি টেক্সট কন্টেন্ট, ভিডিও কন্টেন্ট, ইমেজ কন্টেন্ট , ডকুমেন্ট ফাইল ইত্যাদি যে কোন কিছুই হতে পারে। তবে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ভিডিও কন্টেন্ট এবং ভিজ্যুয়াল, তথা ইমেজ কন্টেন্ট বেশি জনপ্রিয় হয়ে থাকে।
অনলাইন প্লাটফর্মে বর্তমান সময়ে অনেক বড় বড় পেশার মধ্যে কন্টেন্ট তৈরি করা বা লেখা অন্যতম একটি পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে অনেকেই রয়েছে যারা কন্টেন্ট তৈরি করে বা লিখে নিজের একটি সফল ক্যারিয়ার গঠন করতে সক্ষম হয়েছেন। কন্টেন্ট তৈরি করা শিখে আপনি আপনার ক্যারিয়ারকে উজ্জ্বল কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে অনলাইন বা অফলাইনে গড়ে তুলতে পারবেন।
কন্টেন্ট রাইটিং বলতে আসলে কি বোঝানো হয়?
কন্টেন্ট রাইটিং বলতে মূলত বোঝানো হয়-ব্লগ পোস্টের জন্য লেখালেখি করা। অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটে যে ব্লগ গুলো থাকে সেগুলো যত্ন সহকারে লেখার বিষয়টাই হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং।
সহজ কথায়, কন্টেন্ট রাইটিং হলো-আপনার ক্লায়েন্টের কিওয়ার্ড তাদের নিজের মনের মত ব্যবহার করে সুন্দর আর্টিকেল লেখা। ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ওয়েব কন্টেন্ট প্ল্যানিং তৈরি এবং এডিটিং করার প্রক্রিয়াকে কন্টেন্ট রাইটিং বলা হয়।
আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো ?
কন্টেন্ট রাইটিং কেন এত গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য?
এখনকার মানুষ বেশিরভাগ সময় ব্যয় করে ইন্টারনেটে। ইন্টারনেট ব্যবহারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতেই রয়েছে। আর ইন্টারনেট ছাড়া চলাচল আমাদের জন্য কষ্টকরই মনে হয়। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রতিটি কোম্পানি তাদের কন্টেন্ট দিয়ে ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছাতে চাই অনেক কিছু।
তাহলে একজন কন্টেন্ট লেখক হিসাবে, আপনি এই লক্ষ্যে বড় অবদান রাখতে পারেন। ভালো ওয়েব কন্টেন্ট তৈরির মাধ্যমে আপনি যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গুলো রাখতে পারেন তা একটু তুলে ধরা হলো:-
- আপনি খুব সহজেই আপনার কাস্টমারদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেন।
- আপনি আপনার কাস্টমারদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারেন।
- আপনার শেল বা বিক্রয়ের সম্ভাবনা বাড়াতে পারবেন।
- পুরাতন এবং নতুন কাস্টমারদের বিশ্বাস ধরে রাখতে পারেন।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ার কারণে ওয়েব কন্টেন্ট দিয়ে তাদের কাছে পৌঁছাতে চাই বর্তমান সময়ের প্রতিটি ব্যবসা এবং কোম্পানির তাদের প্রোডাক্ট। একজন দক্ষ কন্টেন্ট রাইটার হিসাবে আপনি যে লক্ষ্য পূরণে বিজনেসম্যান হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন। যেমন- SEO ফ্রেইন্ডলি কন্টেন্ট দিয়ে ওয়েবসাইটের অথরিটি ভালো করতে পারেন।
ডিজিটাল কন্টেন্ট রাইটিং এর কিছু প্রকারভেদঃ
ডিজিটাল কন্টেন্ট এমন যেকোনো তথ্য যা ডিজিটাল বা কম্পিউটার ভিত্তিক ডাটা আকারে প্রকাশিত হয়। এতে অনলাইনে প্রকাশিত আর্টিকেল, ভিডিও বা ডিজিটাল ফরমেটে প্রিন্ট করা ইবুকও হতে পারে। ডিজিটাল কন্টেন্ট এর কিছু বিষয় রয়েছে। যেমন:-
(১) টেক্সট কন্টেন্টঃ
ডিজিটাল কন্টেন্ট এ সর্বপ্রথম যেটি আসে তা হচ্ছে টেক্সট কন্টেন্ট। ইন্টারনেটে লিখিত বিভিন্ন আর্টিকেলই মূলত ডিজিটাল টেক্সট কন্টেন্ট। বিভিন্ন ব্লক সাইট নিউজ পেপারে আমরা বিভিন্ন ভাষায় যে আর্টিকেল সমূহ দেখতে পাই সেগুলোই মূলত এই কন্টেন্ট এর মধ্যে পড়ে।
(২) ইমেজ কন্টেন্টঃ
যখন কোন তথ্যকে বিভিন্ন ছবি বা ইমেজের মাধ্যমে চিত্র আকারে প্রকাশ করা হয়। তখন তখন আমরা সেই ছবি বা ইমেজ কন্টেন্ট নামে চিনে থাকি। এটি হতে পারে যেকোনো কিছুর ছবি বা তথ্যবহুল কোন চিত্র। যা আমাদের আকর্ষণ করে এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মনোযোগ ধরে রাখে।
(৩) অ্যানিমেটেড কন্টেন্টঃ
হাতে আঁকা ছবির মত দেখতে যা অ্যানিমেশন চিত্র বাদ তত্তাকারে প্রকাশ করা হয় তাই ভার্চুয়াল গ্রাফিক্স বা অ্যানিমেটেড কন্টেন্ট। বর্তমান সময়ে গ্রাফিক্স দিয়ে তৈরি নতুন এবং বিভিন্ন অ্যানিমেশন চিত্রকে আমরা অনেক কাজে ব্যবহার করে থাকি, বিশেষ করে অ্যানিমেটেড ফিল্ম বা ভিডিও, যেগুলো দেখতে সম্পূর্ণ বাস্তব চিত্রের মত হয়ে থাকে। যা কিছু তথ্য সম্পর্কিত ভিডিও হয়ে থাকে এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করে।
(৪) অডিও কন্টেন্টঃ
যখন কোন তথ্য আমরা রেকর্ডিং এর মাধ্যমে প্রকাশ করি তা সাউন্ড বা অডিও কন্টেন্ট হিসেবে পরিচিত। এটি হতে পারে কোন অডিও গান, মিউজিক ভিডিও, রিংটোন, ওয়াজ মাহফিল ইত্যাদি। যেহেতু অডিও ছাড়া কোন ভিডিও হয় না তাই অডিও কন্টেন্ট মনোযোগ ও আকর্ষণ করে এবং চাহিদাও বেশ বাড়িয়ে দেয়।
(৫) ভিডিও কন্টেন্টঃ
যদি কোন ভিডিও তৈরি করে তথ্য প্রকাশ করা হয় তা ভিডিও কন্টেন্ট হিসেবে পরিচিত। ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করা হয় দেখার জন্য এবং সেখানে অডিও থাকায় তথ্যগুলো আমরা শুনতেও পাই। ইউটিউবে, টিভিতে, ফেসবুকে আমরা প্রতিনিয়ত ভিডিও কন্টেন্ট দেখে থাকি। বর্তমান বিশ্বে ভিডিও কন্টেন্টের চাহিদা অনেক বেশি।
আকর্ষণীয় কন্টেন্ট রাইটিং এর কিছু সিক্রেট টিপসঃ
একটি ভালো কন্টেন্ট যেমন আপনার বা আপনার ওয়েবসাইটের জন্য অনেক বড় ভূমিকা রাখে, ঠিক তেমনি ভালো একটি কন্টেন্ট তৈরি করতে বা লিখতে কিছু নিয়ম-কানুন জানতে হয়। যে বিষয়গুলো একটা কন্টেন্টের মধ্যে থাকতে হবে।
ঠিক তেমনি কিছু নিয়ম মেনে কন্টেন্ট তৈরি করলে তা সঠিক লক্ষে পৌঁছাতে আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেয়া যাক, ভালো কন্টেন্ট তৈরি করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয় জানার আছে।
কন্টেন্ট এর উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য ঠিক করুনঃ
উদ্দেশ্য বিহীন কোন কাজ ভালো হয় না, সফল ও হয় না। আপনার কন্টেন্টের মধ্যে যদি ভালো উদ্দেশ্য না থাকে তাহলে সেটা ভালো হবে না। এমনকি গ্রহণ যোগ্যতাও পাবেন না। তাই কন্টেন্ট বানানোর আগে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনার টার্গেট।
আপনার দর্শকরা আপনার কন্টেন্ট থেকে কি জানতে পারতেছে। এবং আপনি কিভাবে কাজ করলে আপনার কন্টেন্ট হতে তারা সুন্দর কিছু তথ্য জানতে পারবে এবং সহজেই বুঝতে পারবে সেটা হচ্ছে আপনার প্রথম লক্ষ্য।
যা হতে পারে আপনার অডিয়েন্স কে যে কোন ব্যাপারে অনুপ্রেরণা দেওয়া। হতে পারে অডিয়েন্স যদি কোন সমস্যার সম্মুখীন হয় তাহলে সেটার খুব সহজে সমাধান দেওয়া। আবার টার্গেট অডিয়েন্স কে নতুন কিছু শিখতে সাহায্য করা।
আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে স্কিল বৃদ্ধি ও ইনকামের উপায়
কন্টেন্টের আপডেটেড তথ্য সংগ্রহ করুনঃ
আপনি যে বিষয়ের ওপর কন্টেন্ট তৈরি করতে চান, প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করুন। আপনি হয়তো সে বিষয়ে নিয়ে হালকা-পাতলা কিছুটা জানেন। কিন্তু একটা বিষয় সম্পর্কে জানা আর সে বিষয়কে সুন্দরভাবে তথ্য নির্ভর করে উপস্থাপন করা এক জিনিস নয়।
আপনি কন্টেন্টে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো ডকুমেন্ট আকারে সাজাতে পারেন। এক্ষেত্রে তথ্যসূত্র উল্লেখ করে কপি পেস্ট করতে পারেন। এতে আপনার কন্টেন্টে কোন ইফেক্ট পরবে না। লেখার আউটলাইন অনুযায়ী কন্টেন্টের তথ্যগুলো এক জায়গায় নিয়ে আসলে কন্টেন্ট বানাতে অনেক সুবিধা হবে।
সমস্যার সমাধান নিয়ে কন্টেন্ট লিখুনঃ
আপনার কন্টেন্ট পড়ে অডিয়েন্সদের কাজে আসবে বা উপকারে আসবে এমন কিছু বিষয় নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করুন। এমন কোন তথ্য বা পরামর্শ দিতে পারেন যা, তাদের জীবনে কাজে আসবে। এমনকি বাস্তব জীবনে সেটা প্রয়োগ করে কিছু করতে পারবে। এমন ধরনের কন্টেন্ট আপনার অডিয়েন্সদের আকর্ষণীয় করে তুলবে।
যাতে করে একদম নতুন যারা তারা কিছু শিখতে পারে এবং তাদের বাস্তব জীবনে সেটা কাজে লাগাতে পারে। উপকারে আসেনা এমন কন্টেন্ট তৈরি করা থেকে বিরত থাকুন। তাছাড়া আপনার অডিয়েন্সরা কি ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তার রিসার্চ করে সমস্যার সমাধান তৈরি করুন।
সহজ ভাষায় কন্টেন্ট লিখুন বুঝার মত করেঃ
কন্টেন্ট লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই সহজ ভাষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভাষা যত সহজ হবে অডিয়েন্সদের বোঝাতে তত সহজ হবে। কন্টেন্ট এর ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, সেটি যেন কঠিন বা গভীর কোন বিষয় না হয়। অনেক কঠিন এবং বড় কোন শব্দ অডিয়েন্সের মধ্যে এক ধরনের বিরক্ত কর ভাব নিয়ে আসতে পারে।
তাই কন্টেন্ট এর ভাষা যত সহজ হবে অডিয়েন্স এর কাছে সেটা তত গ্রহনযোগ্যতা পাবে। তাই যতটা সম্ভব কন্টেন্টকে সহজ ও সাবলীল ভাষায় লেখার চেষ্টা করুন। যাতে সকল ধরনের মানুষ আপনার কন্টেন্ট পড়তে পারে এবং বুঝতে পারে।
নিজের মতো করে কন্টেন্ট লিখুনঃ
অন্য কাউকে কপি করে বা নকল করে লিখলে সেটা আপনার বুঝতে যেমন কষ্ট হতে পারে সেরকমই অডিয়েন্সদের বুঝতেও সমস্যা হতে পারে। নিজের মত করে কন্টেন্ট সাজান, যা সহজেই অডিয়েন্সের চাহিদা মিটাবে। অনেকে খুব সহজভাবে ভাষা ব্যবহার করে কন্টেন্ট লিখে।
কেউ কেউ একটু রচনার মত করে কৌতুহল মিশিয়ে সেটা উপস্থাপন করে। খুব আবেগ ইমোশন নিয়ে লেখে। আবার অনেকেই নিজের বাস্তব জীবনের ঘটনা দিয়ে কন্টেন্ট লিখে থাকে। আপনার কাছে যেটা সহজ অডিয়েন্স এর কাছেও সেটা সহজ ভাবেই উপস্থাপন করুন।
কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায় সমূহ
"কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায় সমূহ" এ বিষয়ে আপনার মনে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে? তাহলে চলুন জেনে নেই সেই সকল প্রশ্নগুলো কিভাবে আমরা সমাধান করতে পারি কন্টেন্ট রাইটিং শেখার মাধ্যমে।
(১) কন্টেন্ট রাইটিং কোর্স করে
অনলাইনে বা অফলাইনে এর সম্পর্কিত অনেক কোর্স পাওয়া যায়। এই কোর্সগুলো সাধারণত বিভিন্ন দক্ষতা স্তরে তৈরি করা হয়। আপনি শুরু করতে চাইলে একটি মৌলিক কোর্স থেকে শিখতে পারেন। এতে লেখার বিভিন্ন কৌশল, স্টাইল, এবং টেকনিক শেখানো হয়।
কোর্সে লেখকের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার সুযোগ থাকে। যা আপনার লেখার উন্নতি করতে সহায়ক। এই কোর্সগুলোর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করতে হয়। মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে SEO ব্যবহার করে কন্টেন্ট লেখার উপর ফোকাস করা হয়।
এই ধরনের কোর্সগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার দক্ষতাকে আরো নিখুঁত করতে পারবেন। কোর্সের সময় আপনি অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করার সুযোগ পাবেন, যা শেখার প্রক্রিয়াকে আরো উন্নত করে।
(২) ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখে
ইউটিউব একটি আদর্শ প্লাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন বিষয়ে টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। আপনি এই ভিডিওগুলো দেখে লেখার বিভিন্ন কৌশল শিখতে পারবেন। অনেক সফল কন্টেন্ট রাইটার তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং লেখার টিপস ও ট্রিকস দিয়ে থাকেন।
এই টিউটোরিয়াল গুলো সাধারণত বিনামূল্যেই হয়ে থাকে, তাই আপনি সহজেই আপনার সুবিধামতো সময়ে দেখে শিখতে পারবেন। ভিডিওগুলি চিত্র এবং বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে শেখায়, যা শেখার প্রক্রিয়াকে সহজতর করে তোলে। কিছু ভিডিওতে কন্টেন্ট লেখার উদাহরণ দেখানো হয়, যা আপনাকে বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি দেয়।
এছাড়াও অনেক ইউটিউবার লেখার সময় যে ভুলগুলো করা উচিত নয় তা নিয়ে আলোচনা করেন। এর ফলে আপনি শিখতে পারবেন কিভাবে সেগুলো এড়িয়ে চলতে হয়। কিছু youtube চ্যানেল নির্দিষ্ট বিষয়ে কন্টেন্ট লেখার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে। যা আপনার জ্ঞান বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে। সুতরাং, ইউটিউবে লেখার টিউটোরিয়াল গুলো দেখে আপনার জন্য একটি কার্যকরী উপায় হয়ে উঠতে পারে।
আরও পরুনঃ কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা
(৩) ব্লগ বা আর্টিকেল পড়ে
বিভিন্ন ধরনের ব্লগ ও আর্টিকেল পড়া কন্টেন্ট রাইটিং শেখার একটি চমৎকার উপায়। জনপ্রিয় ব্লগ এবং অভিজ্ঞ লেখকদের লেখা পড়লে তাদের স্টাইল এবং কৌশলগুলি বোঝা সম্ভব হয়। এতে আপনি বিভিন্ন ধরনের লেখার ধরন এবং বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
একজন লেখক হিসেবে আপনি সৃজনশীল হতে হলে আপনার লেখার অন্যান্য উদাহরণ গুলি জানার প্রয়োজন। বিভিন্ন ধরনের ব্লগ পড়ার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন কোন লেখা পাঠকদের মধ্যে অধিক জনপ্রিয়।
আরো ভালো হবে যদি আপনি সে লেখাগুলোর লেখকদের সাথে মনোযোগ আকর্ষণ করে যোগাযোগ করেন। তাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন। এর ফলে আপনার লেখার দক্ষতা আরো বাড়বে।
(৪) ই-বুক পড়ে
ই-বুক পড়া কন্টেন্ট রাইটিং শেখার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাই। অনলাইনে কন্টেন্ট রাইটিং সম্পর্কিত অনেক ই-বুক পাওয়া যায়। এগুলো বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে এবং লেখার কৌশল, টিপস,উদাহরণ সরবরাহ করে।
আপনি কিভাবে একটি ভাল কন্টেন্ট তৈরি করবেন, তার বিভিন্ন দিক জানতে পারবেন ই-বুক গুলোতে। এই ই-বুক গুলোতে প্রায়ই লেখার জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা এবং পরিকল্পনার কৌশল সম্পর্কিত তথ্য থাকে। এসব পড়া আপনাকে আপনার লেখার দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করবে। এবং নতুন ধারণা অর্জন করতে উৎসাহিত করবে।
কিছু ই-বুক বিশেষায়িত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে, যেমন এসইও কন্টেন্ট রাইটিং, সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট, এবং ব্লগ লিখার টিপস। এগুলোর মাধ্যমে আপনি নিজের লেখার উন্নত করতে পারবেন। তাই ই-বুক পড়া আপনার লেখালেখির দক্ষতা বাড়ানোর জন্য অপরিহার্য।
শেষ কথাঃ
আশা করি আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন, তাহলে কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে আর কোন সমস্যা থাকবে না। আপনি চাইলে ঘরে বসে করতে পারবেন এই কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ। কন্টেন্ট রাইটিং এর কোন নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা বা বয়স নেই, শুধুমাত্র সৃজনশীল ভাবে লেখার দক্ষতা থাকলেই আপনি লেখালেখি শুরু করতে পারবেন।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা কন্টেন্ট রাইটিং কিভাবে শিখতে পারি সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং এটি সময় ও প্রচেষ্টার প্রয়োজন। তাই নিজেকে সফল কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে তৈরি করতে হলে আপনাকে অবশ্যই সময় নিয়ে সৃজনশীলতার সাথে একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে।



নিউ সেবা বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url